সিলেটের আলো : সিলেট দক্ষিণ সুরমায় আখি নামে এক এস আই বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। উনার পুরো নাম হাসিনা আক্তার আখি। উনার হিংশ আচরণ যেন নিত্যদিনের ঘটনা।
গতকাল সোমবার বিকাল ৪টায় সিএনজি চালক রুবেল আহমদ (৩০) সিলেট থ. ১২-০২৩২ সিএনজি অটোরিক্সা করে দু’জন যাত্রীকে দক্ষিণ সুরমা থানায় যান। যাত্রীরা থানায় আসছিলেন একটি সাধারণ ডায়রী করার জন্য। সিএনজি চালকসহ যাত্রীদের বাড়ী সিলেট দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বরইকান্দি ইউপির গালিমপুর গ্রামে। সিএনজি চালক র“বেল জানায়,গালিমপুর এলাকা থেকে দুইজন যাত্রী থানায় সাধারণ ডায়রী করতে আসেন। ওই সময় যাত্রীরা একটি মারামারির সাধারণ ডায়রী করার জন্য ডিউটি অফিসার আখির কাছে যান। আখি যাত্রীদের কাছে টাকা চান এবং সিএনজি চালক র“বেলকে পানি আনতে বলেন। এসময় র“বেল বলেন আমি’তো আর পানি আনার লোক না। আপনি অন্য কাউকে দিয়ে পানি আনতে পাঠান।
সিএনজি চালক এ কথা বলার সাথে সাথে ওই ডিউটিতে থাকা আখি তাদের অশালিন ভাষায় কথা বার্তা বলে থানা থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। এসময় জাতীয় দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার দক্ষিণ সুরমা প্রতিনিধি ও দৈনিক সিলেটের দিনকাল পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার সুমন আহমদ নিজের হারিয়ে যাওয়া ভোটার আইডি কার্ডের সাধারণ ডায়রীর জন্য থানায় উপস্থিত হন এবং এর প্রতিবাদ করলে তাকেও অশালিন ভাষায় কথা বার্তা বলে থানা থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন।
বিষয়টি তাৎক্ষণিক দিনকালের স্টাফ রিপোর্টার সেলিম হাসান কাওছারকে বিষয়টি জানানো হলে তিনিও থানায় হাজির হন। ওই প্রতিবেদক থানায় পৌছার পর অশালিন ভাষায় কথা বার্তা বলার কারণ আখির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন
তিনি বিভিন্ন সময়ে অনেক পত্রিকা আমার বির“দ্ধে নিউজ করেছে। কিছুই করতে পারেনি। আমি আখিকে সিলেটের সকল সাংবাদিকরা ভাল করেই চিনে। এ ব্যাপারে সিলেট দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ খায়র“ল ফজলের সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন,আমি বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। এস আই আখিকে আর কোন দিন ডিউটিতে দেবো না। বিষয়টি জানার পর ওই সাংবাদিককে বলেছিলাম ১৫মিনিট বসার জন্য। তিনি চলে আসছেন